সুইসকন্ট্যাক্ট-বাংলাদেশ

Swisscontact-Bangladesh

সর্বশেষ:

পঠভূমি

সুইসকন্ট্যাক্ট সুইজারল্যান্ড ভিত্তিক একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা যা ১৯৫৯ সালে সুইজারল্যান্ডে ব্যবসায়ীক এবং বিজ্ঞান অঙ্গনের প্রখ্যাত ব্যাক্তিবর্গের উদ্দোগে প্রতিষ্ঠিত হয়। আন্তর্জাতিক সহোযোগীতায় স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের পাশাপাশি ১৯৬১ সাল থেকে এটি নিজস্ব এবং দাতাসংস্থার অর্থায়নে পরিচালিত বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তয়ন করে আসছে। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সুইসকন্ট্যাক্ট বেসরকারি খাতের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করছে। সুইসকন্ট্যাক্ট বর্তমানে বিশ্বের ৩৪ টি দেশে ১,২০০ এর বেশি জনবল নিয়ে ১০০ টির বেশি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এর প্রধান কার্যালয় সুইজারল্যান্ডের জুরিখে। সুইসকন্ট্যাক্ট বাংলাদেশে এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর অধীনে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় র্কতৃক আন্তর্জাতিক এনজিও হিসেবে নিবন্ধীত।

সুইসকন্ট্যাক্ট দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এই অঞ্চলে কার্যক্রম শুরুর পর থেকে সুইসকন্ট্যাক্ট দক্ষতা উন্নয়ন, কৃষি ব্যবসা সম্প্রাসারন এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের মানোন্নয়ন এর মাধ্যমে বেসরকারি খাতের উন্নয়নে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে। সুইসকন্ট্যাক্ট সর্বপ্রথম ১৯৬২ সালে ভারতে একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করে এরপর ১৯৭৯ বাংলাদেশে আর একটি প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে। সুইসকন্ট্যাক্টের দক্ষিণ এশিয়া আঞ্চলিক কার্যালয় (SARO) ঢাকায় অবস্থিত। এছাড়াও নেপাল ও মিয়ানমারে আরো ২টি কার্যালয় রয়েছে। বাংলাদেশে কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য সিলেট, সুনামগঞ্জ, নীলফামারী , পটুয়াখালী ও বগুড়ায় সুইসকন্ট্যাক্ট এর প্রকল্প অফিস রয়েছে।

মূল পারদর্শিতা এলাকা গুলি: সুইসকন্ট্যাক্ট বেসরকারি খাতের উন্নয়নের প্রধানত চারটি ক্ষেত্রবিশেষে কাজ করে থাকে। এগুলো হচ্ছে:
# দক্ষতা উন্নয়নঃ শ্রমবাজারের চাহিদা সা¤পন্ন বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণের এবং শ্রম বাজারে উন্নততর সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে উৎপাদনশীল কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং আয়বৃদ্বি করা
# ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের মানোন্নয়নঃ টেকসই ভ্যালুু চেইন স্থাপন, বাজারের প্রবেশাধিকার বৃদ্ধি এবং স্থানীয় অর্থনৈতিক উন্নয়নের মাধ্যমে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করা।
# আর্থিক সহায়তা/ সেবায় অন্তর্ভুক্তিকরণঃ আর্থিক পণ্য, সেবা এবং আর্থিক স্বাক্ষরতা প্রশিক্ষণে প্রবেশাধিকার বৃদ্ধির মাধ্যমে উদ্যোক্তাদের ক্ষমতায়ন করা।
# প্রাকৃতিক সম্পদের কার্যকরী ব্যবহারের মধ্যমে সমৃদ্ধি অর্জনঃ প্রকৃতিক সম্পদের যথোপযুক্ত ব্যাবহারের মাধ্যমে সমৃদ্ধি অর্জনে সহযোগীতা করা।